
অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাসার ভেতরে যখন র্যাবের তল্লাশি চলছিল তখন বাইরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্যের পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও উৎসুক জনতা ভিড় করে। এসময় বাসার ভেতরে কালো টি-শার্ট, জিনস্ প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে ইভ্যালির সিইও রাসেলকে। ঘরের ভেতরেই জুতা পরে বসে থাকা রাসেলকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল। সামনে ছিল পানির বোতল। বিকাল ৫টা২০ মিনিটের দিকে তাকে বাসা থেকে বের করে আনেন র্যাব সদস্যরা। পরে তাকে র্যাবের গাড়িতে করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেল-শামীমার মোহাম্মদপুরের বাসায় র্যাব অভিযান শুরু করে। বেশ কিছুদিন ধরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন গ্রাহকরা। গত বুধবার রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামের এক ভুক্তভোগী ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে বিএফআইইউ নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়।