বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্রাজিলের সাপের বিষ দিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব

করোনাভাইরাসের মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে বিশ্বব্যাপী চলছে নানা গবেষণা।সেসব গবেষণায় এবার আশার আলো দেখাচ্ছেন ব্রাজিলের একদল গবেষক।তাদের দাবি, দেশটির একটি প্রজাতির সাপের বিষে থাকা উপাদান করোনা রোধে বেশ কার্যকর বলে দেখা গেছে।এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।গবেষকরা বলছেন,প্রাথমিকভাবে বানরের কোষের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে,সফলতার দিকে এটি প্রথম ধাপ।প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী মলিকিউলসে ওই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।সেখানে বলা হয়,বানরের শরীরের কোষে জারারাকুসু পিট ভাইপার নামের সাপের বিষে পাওয়া উপাদান করোনাভাইরাসের ক্রমাগত পুনরুৎপাদনক্ষমতা ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত থামিয়ে দিতে সক্ষম।জারারাকুসু পিট ভাইপার ব্রাজিলের দীর্ঘাকৃতির সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম।ব্রাজিল ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া,প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনায় এই প্রজাতির সাপের দেখা মেলে।মারাত্মক বিষধর এ সাপ ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে বলে জানা গেছে।এই সাপের বিষ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতোটুকু কার্যকর সে সম্পর্কে জানিয়েছেন গবেষণায় যুক্ত থাকা গবেষক ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েল গুইদো।তিনি জানান, ভাইরাসটির ক্রমাগত পুনরুৎপাদনে মূল ভূমিকা রাখে ভাইরাসটির ‘পিএলপ্রো’ নামের একটি এনজাইম।সাপের বিষ বিষে থাকা ‘অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন’ সেই এনজাইমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পুনরুৎপাদনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে সক্ষম।তিনি আরও জানান, বিষে থাকা এই ‘অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন’ গবেষণাগারেই উৎপাদন করা সম্ভব।তাই উপাদানটির জন্য জারারাকুসু পিট ভাইপার সংগ্রহ বা চাষ করতে হবে এমন প্রয়োজন নেই।এদিকে, বানরের শরীরে আরও পরীক্ষা চালানোর পর বিষের উপাদানটি মানুষের কোষের ওপর প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।তবে তা কবে থেকে শুরু হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

All Rights Reserved ©2024