ঝরে যাওয়া তারা

কবিঃ মরিয়ম চৌধুরী

মায়ের আঁচলে,পিতার আদর শাসনে বেড়ে ওঠার বয়সে,
অযত্নে, অবহেলায় বেড়ে ওঠে, ফুটপাতে-রেল স্টেশনে।

ইট-পাথরের নগরীর পথে-প্রান্তরে,
জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষে ভারাক্রান্ত নিজ অন্তরে।

প্রতিনিয়ত ছুটতে থাকে ওরা
একমুঠো খাবারের আশাতে,
কচি দুটি হাত পাতে ট্রাফিক সিগনালে
থেমে থাকা গাড়ির জানালাতে।

নির্দয় মানুষ ধমকে দেয় তাড়িয়ে,
নিরাশ শিশুরা ব্যথিত হৃদয়ে,
হাল না ছেড়ে, ছুটতে থাকে সাহস যুগিয়ে।

দুর্গন্ধময় ডাস্টবিনের পাশে
ব্যাস্ত তারা খাবারের তল্লাসে,
একটু ভালো খাবার পেলে ওরা
মেতে উঠে আনন্দ উল্লাসে।

ডাস্টবিনের স্তপের মাঝে
অসহায় শিশুরা খাবার খুঁজে
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে তাদের কষ্ট
ক’জনে বুঝে.?

কখনো বৃষ্টিতে কখনো রোদ্রে
করে হাহাকার,
কখনো ধুলোয় লুটিয়ে
দেহ-মাটি করে একাকার।

তাদেরও তো আছে মাথা উঁচু করে
বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার,
তবে কেন পেতে হয় তাদের এত
অবহেলা আর ধিক্কার।

অসহ্যকর খিদার তাড়নায়
ক্ষুদার্থ শিশুরা কত অসহায়,
তাদের নেই কোন উপায়,
একমাত্র আল্লাহ তাদের সহায়।

অসময়ে ঝরে যেতে দেবোনা
উজ্জল তাঁরাদের,
এটা হউক তাদের জন্য প্রতিশ্রুতি আমাদের।

আজকের শিশু আগামীর স্বপ্নীল ভবিষ্যৎ,
তাদের সহযোগিতায় হাত বাড়াবো সবাই মিলে করি এই শপথ।