
সম্পত্তি লিখে নিয়ে নব্বই বছরের বৃদ্ধ দাদাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাতিদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মিরাজ আলী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের ঘরের নাতি কাজল (৩৫) ও ইয়াছিনের (২৮) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, স্ত্রী, ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ছিল মিরাজ আলীর সংসার। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে ছেলে চাঁন মিয়াকে নিয়ে চলতে থাকে মিরাজ আলীর সংসার। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে ছেলেও মারা যায়। এর বছর পার না হতেই ছেলে বউ দুই সন্তান রেখেমৃত্যু বরণ করেন। এরপর বৃদ্ধার শেষ ভরসা দুই নাতি। সেই ভরসাই যেন মিরাজ আলীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৯০ বছর বয়সী মিরাজ আলী বার্ধক্যজনিতসহ নানা কারণে তিনি প্রায় মনুষ্যত্বহীন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে তার নাতিরা খুবই খারাপ আচরণ করে। সর্বশেষ দাদার সম্পত্তি লিখে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
বৃদ্ধ বয়সে তার দেখভাল করার কথা বলে নাতিরা জোরপূর্বক বাড়িসহ সব জামিজমা লিখে নিয়েছে। কিন্তু দেখভাল তো দূরের কথা, তাকে বাড়ি থেকেই বের করে দিয়েছে নাতিরা। চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছে বিছানায়। এখন আশ্রয় নিয়েছে মেয়ের বাড়িতে। সেখানেও বিভিন্নভাবে তাকেসহ তার মেয়েকে হুমকি দিচ্ছে নাতিরা।
ভুক্তভোগী মিরাজ আলী বলেন, ‘নাতিরা কইছে জমি আরেকজনে নিতাছেগা তারাতারি লিখে দিতাম। হেরা জোর করে নিছেগা। এহন আমারে দেহেনা।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালাম বলেন, ‘জমিজমা লিখে নেওয়ার বিষয়টি সত্য। তবে তিনি এখন কি অবস্থায় আছে তা আমার জানা নেই।’
ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।’
ধোবাউড়ান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, ‘জমিজমা লিখে নিয়ে বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া খুবই অমানবিক। আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে সমাজ সেবার কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’