চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৬০ কিলোমিটার লংমার্চ শেষে শনিবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের শের-ই-বাংলা পার্কে পথসভায় বক্তব্যকালে বিদ্যুৎ চলে গেলে চটে যান এনসিপি নেতা সারজিস আলম। এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক প্রোগ্রামে যারা এটি করেছে তারা রাজনৈতিক বেশ্যা। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নিবো তাদের কলিজা কতো বড়। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’
তিনি বলেন, ‘নেসকো ও নেসকোর সঙ্গে জড়িত যারা আছেন তাদের হুঁশিয়ার করে বলি এনসিপি গত এক মাসে তিনটি প্রোগ্রাম করেছে। কিন্তু তিনদিনই প্রোগ্রামের সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেছে। একদিন হতো দুইদিন হতো কিছু বলতাম না। যখন প্রত্যেকবার হয় তখন আমরা মনে করি আপনারা এক একজন রাজনৈতিক বেশ্যা। আপনারা রাজনৈতিক চাটুকার পা-চাটা। এ জন্য এনসিপি’র প্রত্যেক প্রোগ্রামের সময়ে এটি হয়। আজকের পর আমি সারজিস আলম এখানে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, এরপর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে ওই প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে থাকবে না। আপনাদের মতো দেউলিয়ারা নিজের আখের গোছানো শুরু করেন।
খুনি হাসিনাকে গুনি নাই তোদের মতো নেসকোর জেলা বিভাগের কর্মকর্তাদের গোনার টাইম নাই। এখান থেকে বের হয়ে দেখে নিবো এরা এখানে কীভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। এই পঞ্চগড়ে অবস্থান করে। যখনই আপনি চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তখনি কারও জ্বালা শুরু হয়ে যায়। তখনি এভাবে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলি আমরা পঞ্চগড়ের মাটিতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী দখলদার, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটের হোতাদের আর শান্তির ঘুম হবে না যতদিন আমরা আছি। আমরা দেখে নিবো তাদের কলিজা কতো বড় হয়ে গেছে। আমরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে সেদিন মানুষ দেখবে একটা জেলা কেমন হওয়া উচিত। সারজিসের এমন বক্তব্য নিয়ে পঞ্চগড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।