কচুর শাকের যত গুণ

চোখে ছানি পড়া আজকাল খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কম বয়সেও এই সমস্যা দেখা দেয়। আর ছানি হলে অবশ্যই অপারেশন করতে হয়। তবে এর আগেই যদি সচেতন হওয়া যায়, তাহলে এসব রোগ থেকে বেঁচে থাকা যাবে অনেকাংশে।

গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে দেখতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে কচুর শাক। এই কচু সবাই খেলেও এর শাক খান না তেমন কেউ। কিন্তু এর মধ্যেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের উৎস। এতে থাকা আয়রন গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেকটাই উপকারী।

তাই গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত এই শাক খেতে পারেন।

ভিটামিন এ, বি, সি, সহ ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার এই শাক নিয়মিত খেলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়। আপনার শরীরে যদি রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থাকে তাহলে এই শাক মহৌষধি সম্পন্ন আপনার জন্য। শুধু তা-ই নয়, কোলেস্টরেলের মতো সমস্যা থাকলেও এই শাক অনেক উপকারে আসে।

কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কচু শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কচুর লতি ও শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের ছানি পড়া রোধ করতে সহায়ক এই শাক। তাই এবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন এই শাক।

কচু শাক ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই পাতায় ফ্যাট একেবারেই নেই, উল্টো প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। সঙ্গে কচু শাকে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। এই দুটিই পুষ্টি শরীরের চর্বি কমাতে এবং পেশি বৃদ্ধি প্রচার করতে সাহায্য করে। এই শাক ফিটনেস বাড়াতেও কাজ করে।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকর খাবার হতে পারে কচু শাক। এই শাকের গ্লাইসেমিক একক বেশ কম। পাশাপাশি, প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এই শাক খেলে আচমকা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।

Tag :
জনপ্রিয়

কচুর শাকের যত গুণ

আপডেট ০৭:৫৬:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চোখে ছানি পড়া আজকাল খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কম বয়সেও এই সমস্যা দেখা দেয়। আর ছানি হলে অবশ্যই অপারেশন করতে হয়। তবে এর আগেই যদি সচেতন হওয়া যায়, তাহলে এসব রোগ থেকে বেঁচে থাকা যাবে অনেকাংশে।

গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে দেখতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে কচুর শাক। এই কচু সবাই খেলেও এর শাক খান না তেমন কেউ। কিন্তু এর মধ্যেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের উৎস। এতে থাকা আয়রন গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেকটাই উপকারী।

তাই গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত এই শাক খেতে পারেন।

ভিটামিন এ, বি, সি, সহ ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার এই শাক নিয়মিত খেলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়। আপনার শরীরে যদি রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থাকে তাহলে এই শাক মহৌষধি সম্পন্ন আপনার জন্য। শুধু তা-ই নয়, কোলেস্টরেলের মতো সমস্যা থাকলেও এই শাক অনেক উপকারে আসে।

কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কচু শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কচুর লতি ও শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের ছানি পড়া রোধ করতে সহায়ক এই শাক। তাই এবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন এই শাক।

কচু শাক ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই পাতায় ফ্যাট একেবারেই নেই, উল্টো প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। সঙ্গে কচু শাকে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। এই দুটিই পুষ্টি শরীরের চর্বি কমাতে এবং পেশি বৃদ্ধি প্রচার করতে সাহায্য করে। এই শাক ফিটনেস বাড়াতেও কাজ করে।

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকর খাবার হতে পারে কচু শাক। এই শাকের গ্লাইসেমিক একক বেশ কম। পাশাপাশি, প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এই শাক খেলে আচমকা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।