গাজার সব রাস্তা ধ্বংস, ঢুকতে পারছে না ত্রাণ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পর এখন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রবেশ করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সংস্থাগুলো। কারণ

ইসরায়েলের টানা দুই বছরের বর্বরতায় বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড এখন পুরোটাই ধ্বংসাবশেষের মরুভূমি। গাড়ি চলাচলের রাস্তাই যেন অবশিষ্ট নেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডজন ডজন বুলডোজারে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় হামাস প্রশাসন। তবে বুলডোজার অপারেটররা বলছেন, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ পরের কথা; শুধু রাস্তা পরিষ্কারেই লেগে যাবে এক মাসেরও বেশি।

খান ইউনিস পৌরসভা জানিয়েছে, ইসরাইলি গণহত্যামূলক অভিযানে শহরের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পৌরসভা জানায়, শহরজুড়ে প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে, যা সরানো না গেলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি আরও বাড়বে।

খান ইউনিসের মেয়র বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটার পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ৭৫ শতাংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ পরিষ্কারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ডিজেল জ্বালানির সংকটে যে কোনো সময় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপ ও ভারী ধ্বংসাবশেষ সরাতে আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।’

Tag :
জনপ্রিয়

গাজার সব রাস্তা ধ্বংস, ঢুকতে পারছে না ত্রাণ

আপডেট ১২:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পর এখন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রবেশ করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সংস্থাগুলো। কারণ

ইসরায়েলের টানা দুই বছরের বর্বরতায় বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড এখন পুরোটাই ধ্বংসাবশেষের মরুভূমি। গাড়ি চলাচলের রাস্তাই যেন অবশিষ্ট নেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডজন ডজন বুলডোজারে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় হামাস প্রশাসন। তবে বুলডোজার অপারেটররা বলছেন, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ পরের কথা; শুধু রাস্তা পরিষ্কারেই লেগে যাবে এক মাসেরও বেশি।

খান ইউনিস পৌরসভা জানিয়েছে, ইসরাইলি গণহত্যামূলক অভিযানে শহরের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পৌরসভা জানায়, শহরজুড়ে প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে, যা সরানো না গেলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি আরও বাড়বে।

খান ইউনিসের মেয়র বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটার পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ৭৫ শতাংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ পরিষ্কারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ডিজেল জ্বালানির সংকটে যে কোনো সময় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপ ও ভারী ধ্বংসাবশেষ সরাতে আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।’