সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পাপড়ি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে লালাবাজারের শাহ সিকান্দার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, লালাবাজারে পাপড়ি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঘটনার পরদিন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক লিটনের ভাই রাসেল আহমদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারে ছয় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আমিনুর রহমান চৌধুরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লালাবাজারে নর্দমার নির্মাণকাজ চলমান। বাজারের মসজিদের পাশে থাকা একটি যাত্রীছাউনি ভাঙা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এক পক্ষ ছাউনি ভেঙে নর্দমা নির্মাণের পক্ষে মত দেয়, অন্য পক্ষ ছাউনি রেখে কাজ করার পক্ষে অবস্থান নেয়। ছাউনি ভাঙার পক্ষে ছিলেন লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী ও তার সমর্থকরা। অন্যদিকে বাজারের ব্যবসায়ী ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ ও তার পক্ষের লোকজন ছাউনি রেখে কাজ করার দাবি তোলেন। জুবায়ের আহমদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও তার কোনও পদ নেই। বাজারে তার ‘পাপড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমিনুর রহমান ও জুবায়ের আহমদ দুজনই আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। এ কারণে তাদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল।
গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ছাউনি ভাঙা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় জুবায়ের আহমদের রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করা হয়। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।