জামায়াতের দর্শন স্বাধীনতা পরিপন্থী : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও অতীত আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মানচিত্র ও জাতীয় চেতনার পরিপন্থী।

তিনি মনে করেন, জামায়াত যতবার ইতিহাসের মঞ্চে ফিরে আসতে চেয়েছে, ততবারই জনগণের অন্তর থেকে প্রতিধ্বনি উঠেছে। এই দেশকে আর অন্ধকারে ফেরানো যাবে না।

আজ সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায়, মানবতা ও সংহতির বাংলাদেশে বিশ্বাস করি। এখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু এই স্বাধীনতা কোনো ষড়যন্ত্রের ঢাল হতে পারে না। প্রশাসনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ, বিভাজনের রাজনীতি বা ধর্মের নামে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা এই মাটিতে আর সফল হবে না।

বাংলাদেশের কওমী, সুন্নী, হিন্দু, তরুণ ও প্রগতিশীল সব শ্রেণির মানুষ আজ এক বন্ধনে যুক্ত। এই মাটিকে শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবিকতার পথে রাখার বন্ধনে।

Capture

যে মাটিতে শহীদদের রক্ত মিশে আছে, যে আকাশে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি কখনোই স্থান পাবে না। আমাদের দায়িত্ব শুধু প্রতিরোধ নয়, সুরক্ষা। বাংলাদেশের মানচিত্র, ইসলাম ও আলেম-উলামাদের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব।

তবু আমরা ঘৃণার নয়, মানবতার রাজনীতি চাই। যারা বিভ্রান্ত পথে গেছে, তাদের জন্য আমরা দরজা খোলা রাখি।যেন তারা ফিরে আসে গণতন্ত্র, ন্যায় ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশে।

এই দেশ কারও শত্রুতা নয় — এই দেশ সহাবস্থানের, পারস্পরিক শ্রদ্ধার, এবং এক নতুন ভবিষ্যতের আহ্বান।

Tag :

জামায়াতের দর্শন স্বাধীনতা পরিপন্থী : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

আপডেট ০৯:২০:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও অতীত আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মানচিত্র ও জাতীয় চেতনার পরিপন্থী।

তিনি মনে করেন, জামায়াত যতবার ইতিহাসের মঞ্চে ফিরে আসতে চেয়েছে, ততবারই জনগণের অন্তর থেকে প্রতিধ্বনি উঠেছে। এই দেশকে আর অন্ধকারে ফেরানো যাবে না।

আজ সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায়, মানবতা ও সংহতির বাংলাদেশে বিশ্বাস করি। এখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু এই স্বাধীনতা কোনো ষড়যন্ত্রের ঢাল হতে পারে না। প্রশাসনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ, বিভাজনের রাজনীতি বা ধর্মের নামে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা এই মাটিতে আর সফল হবে না।

বাংলাদেশের কওমী, সুন্নী, হিন্দু, তরুণ ও প্রগতিশীল সব শ্রেণির মানুষ আজ এক বন্ধনে যুক্ত। এই মাটিকে শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবিকতার পথে রাখার বন্ধনে।

Capture

যে মাটিতে শহীদদের রক্ত মিশে আছে, যে আকাশে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি কখনোই স্থান পাবে না। আমাদের দায়িত্ব শুধু প্রতিরোধ নয়, সুরক্ষা। বাংলাদেশের মানচিত্র, ইসলাম ও আলেম-উলামাদের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব।

তবু আমরা ঘৃণার নয়, মানবতার রাজনীতি চাই। যারা বিভ্রান্ত পথে গেছে, তাদের জন্য আমরা দরজা খোলা রাখি।যেন তারা ফিরে আসে গণতন্ত্র, ন্যায় ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশে।

এই দেশ কারও শত্রুতা নয় — এই দেশ সহাবস্থানের, পারস্পরিক শ্রদ্ধার, এবং এক নতুন ভবিষ্যতের আহ্বান।