ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃত ২০ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আবু সাঈদ (১৯) নামে এক ডোমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডোম আবু সাঈদ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সে হালুয়াঘাট থানার মরদেহ আনা-নেয়ার কাজ করতো। মঙ্গলবার রাতে হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই দিন বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরে এই ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, রোববার জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে রাখে। পরদিন সকাল ১১টায় আবু সাঈদ তরুণীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। আসার পর মর্গে মরদেহ রেখে আবার চলে যায়। আধাঘণ্টা পর আবারো ডোম আবু সাঈদ ও তার সঙ্গী এসে মর্গে ঢুুকে ধর্ষণ করে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে মর্গের কর্তব্যরত ডোম এসে মর্গ অন্ধকার দেখতে পেয়ে লাইট জ্বালায়। এ সময় আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখে। মরদেহ দেখে কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, ডাক্তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে হালুয়াঘাট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাঈদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেফতারকরে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে। মামলার বাদী হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বলেন, আবু সাঈদ জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেয়ার কাজ করতো।
মিশিগান প্রতিদিন ডেস্ক 






















