নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে কলম্বোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ হারিয়েছে পাকিস্তানকে। আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ১২৯ রানে অলআউট হয়। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দারুণ করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেট ও ১১৩ বল হাতে রেখে। দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশ দলের এটি দ্বিতীয় জয়। আগের জয়টিও ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০২২ সালে।
১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফারজানা হককে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলেন দিয়ানা বেগ। শারমিন আক্তার ১০ রান করলে ফিরলে দলীয় ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। তবে এরপর জুটি গড়েন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ও জ্যোতি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৬২ রান। জ্যোতি ৫ চারে ২৩ বলে ৪৪ রান করে ফিরলে জুটি ভাঙে। তবে একপ্রান্ত আগলে ৬৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। বাংলাদেশের হয়ে নারী ওয়ানডে অভিষেকে ফিফটি করা তৃতীয় ব্যাটার রুবাইয়া ঝিলিক। তার আগে আয়শা রহমান ও শারমিন আক্তার এই কীর্তি গড়েন।
৮ চারে ৭৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন রুবাইয়া আক্তার ঝিলিক। ৬ চারে ১৯ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে রুবাইয়াকে সঙ্গ দেন সোবহানা মোস্তারি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩১ রানে ২ উইকেট নেওয়া মারুফা আক্তার। পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের সময় ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া শিকার ধরেন মারুফা।
ম্যাচ জয়ের পর জ্যোতি বলেন, ‘জয়ে খুশি। আমি মনে করি টস হেরে ভালোই হলো। আমরাও আগে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন। মারুফা পাওয়ার প্লেতে যেমন বোলিং করেছে সেটা দারুণ। প্রথম ইনিংস পরই আমরা জানতাম পরিকল্পনা মতো ব্যাট করতে পারলে জয় সম্ভব। ঝিলিক দারুণ ব্যাট করেছে। প্রথমে উইকেট হারালেও যারা ক্রিজে গেছেন জুটি গড়তে চেয়েছে।’