ফেব্রুয়ারিতে নয় জানুয়ারিতেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, আমাদের জন্য তত ভালো হবে বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। নির্বাচন সংঘাত মুখর নাকি শান্তিপূর্ণ হবে? এটার সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের উপর নির্ভর করবে।
রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন ।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শহীদদের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করি কিন্তু তাদের পরিবারের কেউ খোঁজ খবর নেই না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শহীদ বা আহত পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার জন্য আমাদের কাছে আসে। উনাদের তো এভাবে সহযোগিতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরার কথা না।
এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। আহতদের সুচিকিৎসা না হওয়ার সকল দায় এই ইন্টেরিম সরকারের। আমরা চাই, আগামীর বাংলাদেশ গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় গড়ে উঠবে। নির্বাচন কোন কারণে পিছিয়ে গেলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্যই বিপর্যয়কর হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রসিকিউটর টিমকে কৃতজ্ঞতা জানায়। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিক। এই কয়েকজন বিপথগামী জেনারেলের দায় সেনাবাহিনী নিবে না। জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করলে, এই জাতীয় পার্টির মাধ্যমেই আওয়ামীলীগ ফিরে আসবে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে।
গনঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা পরবর্তীতে গনঅধিকার পরিষদ গঠন করি।
জুলাইয়ের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো একসাথে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন করেছি। ২৪ আমাদের সুযোগ দিয়েছে গণতান্ত্রিক, উন্নত, কল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়ার । কল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়তে সকল রাজনৈতিক দলের এক থাকতে হবে।
আমাদের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমাদের এক থাকতে হবে। এক থাকতে না পারলে আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে আবারও ১/১১ র মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দিনের সরকার তৈরির চেষ্টা চলছে।
মিশিগান প্রতিদিন ডেস্ক 





















